Tuesday, July 30, 2013

মানুষের কল্যাণে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং

মার্কেটিং বা বিপণনের একটি নতুন ও অনন্য আবিষ্কার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং। আমেরিকার বিখ্যাত কেমিস্ট ডঃ কাল রেইন বোর্গ তার উৎপাদিত কৃত্রিম ভিটামিন (যা আয়োডিন ও ভিটামিন ’ এর  সংমিশ্রনে তৈরী) বাজারজাত করনের জন্য সর্বপ্রথম বহুমাত্রিক পদ্ধতি এর ধারনা প্রবর্তন করেন। পাশাপাশি ক্যালিফোনিয়া ভিটামিন,নামে একটি কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন যা বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী বলে স্বীকৃতি পায়। কারন ১৯৪০ সালের শুরুতে এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার বিক্রয় কার্যক্রম ছিল বহুস্তরে বিভক্তযে ধারনা হতে জন্ম নেয় বহুমাত্রিক বিপণন পদ্ধতি বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতি। আমরা বিপণন বা মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরণ বা কৌশল দেখে থাকি বিশেষ কয়েকটি ধরণ হলোঃ 

(ক) সরাসরি বিপণন পদ্ধতি (Direct Selling) 
(খ) ট্রেডিশনাল পদ্ধতি (Traditional System) 
(গ) টেলি মার্কেটিং (Tele Marketing) 
(ঘ) ইন্টারনেট মার্কেটিং (Internet Marketing)ইত্যাদি। 

যে কোন বিপণন পদ্ধতির চেয়ে এমএলএম পদ্ধতির বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্যণীয় তম্মধ্যে অসংখ্য মানুষেরঅংশগ্রহণের বিষয়টি অন্যতম অর্থাৎ যেখানে ক্রেতাই পরিবেশক বা কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজের সুযোগ পায়। মধ্যস্বত্বভোগীদের সংখ্যা কমিয়ে বা এড়িয়ে কোম্পানী কর্তৃক লাভের অংশ কিংবা মার্কেটিং খরচ সাশ্রয় করে সাধারণ ক্রেতা বা পরিবেশকদের মাঝে বন্টন করা হয়,ক্রেতা বা পরিবেশকগণ টীম বা দল গঠন করে নিজেদের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে অসংখ্য মানুষ পার্টটাইম বা ফুল টাইম আয়ের পথ হিসেবে এ পদ্ধতিকে বেছে নেয়ার সুযোগ পায় সংক্ষেপে আমরা দেখব কেন এমএলএম ব্যবসাকে জনকল্যাণকর বলা হয়ে থাকেঃ
  1. এমএলএম ব্যবসায় সরাসরি ক্রেতাগণ জড়িত থাকে বিধায় ক্রেতারা নিজেদের পছন্দসই পণ্য বেছে নেয়ার সুযোগ পায়
  2. এমএলএম ব্যবসায় পণ্য বিক্রয়ের উপর কমিশন অর্জন করা যায় বিধায় অসংখ্য মানুষ এ ব্যবসা হতে আয়ের সুযোগ পায়
  3. টীম বা দল গঠন করে দীর্ঘমেয়াদী ও রয়েলটি আয়ের সুযোগ থাকে বিধায় মাল্টিলেভেল বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিকে অনেকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে কর্মসংস্থান খুজেঁ পেয়েছে
  4. ট্রেডিশনাল কোম্পানীগুলো সামাজিক দায়িত্বপালনে (Social Responsibility) সচরাচর জড়িত থাকে কিন্তু নেটওয়ার্ক বা এমএলএম কোম্পানীগুলো সামাজিক দায়িত্বপালন অত্যাবশ্যক কারণ ক্রেতাসন্তুষ্টিই এমএলএম ব্যবসা মূল লক্ষ্য
  5. এমএলএম কোম্পানীগুলো সরাসরি পণ্য উৎপাদন ওবাজারজাতকরণে জড়িত যার দরুন ব্যবস্থাপনা ও ক্রেতা-পরিবেশকদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত ও অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তি হয়ে থাকে

No comments:

Post a Comment